খন্দকার আছিফুর রহমান : সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে ঘুড়ি মার্কায় ভোট চাই : সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম টলার। আজ ১১ ই নভেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে খুলনার ফুলতলা উপজেলার ৪ নং ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম টলার। ঘুড়ি প্রতীক পেয়েই ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের দুয়ারে দৌঁড়িয়েছেন একটি ভোটের আশায়। চালিয়ে গেছেন প্রচারণা।
দৈনিক ফুলতলা প্রতিদিনকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম টলার বলেন- জনগণ আমার পরিবার; জনগন সাথে থাকলে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার চলার পথ থেমে যাবে না। আমি সকলের সাথে ছিলাম-আছি-থাকবো। যেমনটি একটি পরিবারের সদস্যরা থাকে। তাই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে আজকের নির্বাচনে ঘুড়ি মার্কায় ভোট চাই।
ওয়ার্ডবাসীর দাবি এবারের নির্বাচনে ৪নং ফুলতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সদস্য হিসেবে একজন সৎ-যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হোক। একজন সৎ-যোগ্য প্রার্থীর কোন বিকল্প নেই। ঘোষিত এবং অঘোষিত বিভিন্ন ধরনের সেবার মানসিকতা নিয়ে যারা সদস্য পদে পদপ্রার্থী হিসেবে আজকের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তাদের মধ্যে সৎ-যোগ্য প্রার্থীর প্রতি মানুষের সমর্থন আরও উজ্জীবিত করবে বলে এলাকার বিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করেছেন।
তরিকুল ইসলাম টলার বলেন, ইতিহাসে সাক্ষী আছে যে- বহু ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেও আমি স্বপ্ন দেখেছি, ওয়ার্ড বাসী সুযোগ দিলে অবশ্যই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করবো এবং দেখিয়ে দেবো আমরাও পারি। বয়স মূল কথা নয়, কাজের ইচ্ছা শক্তি ও সঠিক পরিকল্পনাই মূল কথা। যদি সঠিক পরিকল্পনা সামনে রেখে নিবেদিত প্রাণে কাজ করা যায়, তবেই সম্ভব। জনগণ আমার পরিবার। জনগণের দোয়া ও ভালবাসাই আমার চলার পথের পাথেয়।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি ইতিপূর্বে সকল সময়ে ওয়ার্ডবাসীর সুখে-দু:খে ব্যক্তিগতভাবে সাধ্যমতো পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। ইউনিয়ন পরিষদে একটি চেয়ার থাকলে তখন সরকারী সকল সুবিধা মানুষের মাঝে সঠিক বন্টন করতে পারবো ইনশাল্লাহ। তাই ৪নং ফুলতলা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে রুপান্তরিত করতে আজ ১১ নভেম্বরের নির্বাচনে ঘুড়ি মার্কায় ভোট প্রদান করতে করজোড়ে অনুরোধ ও দোয়া চান তিনি।
সাংবাদিক তরিকুল ইসলাম টলার আরোও বলেন, এলাকার জনগণের বিভিন্ন সমস্যা ও পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সমাধানের জন্য তার নির্বাচনে আসা। নির্বাচনে জয়ী হলে কি করবেন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি জয়ী হলে ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন, এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়ন করবেন, ওয়ার্ডের পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করবেন, ওয়ার্ডের প্রতিটি রাস্তায় রাতে সাধারণ জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে নিজস্ব অর্থায়নে আলোর ব্যবস্থা করবেন, ওয়ার্ডে বসবাসরত জনগণের জন্য সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা সমহারে বন্টন করবেন, সরকারি প্রতিটি অনুষ্ঠানে ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন, সংস্কৃতি ও বিনোদনের জন্য খেলাধুলাসহ অন্য সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।