সৈয়দ বিশারত হোসেন রাজা/ সৈয়দ রমজান, নড়াইল থেকে : নড়াইলের চাকই-এ বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সভায় হাজারো মানুষের ঢল। নড়াইলের সদর থানাধীন বিছালী ইউনিয়নের চাকই-এ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা, স্মরণ সভা, দোয়া মাহফিল ও গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ১৯ আগষ্ট বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় চাকই মোল্লারহাট বাজারের পাশে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হাজার হাজার মানুষের স্বত:স্ফুর্ত উপস্থিতিতে উক্ত আলোচনা সভা, স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল এবং গণভোজ অনুষ্ঠিত হয়।
বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সাইফার রহমানের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আসন অলংকৃত করেন ১২ বিছালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত সুযোগ্য চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলাম।
উক্ত আলোচনা ও স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ১২নং বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সভাপতি মো: আকতার হোসেন কিংকু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা মো: বাবর আলী, বিছালী ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি তপন কুমার বিশ্বাস, চাকই বাজার বণিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন- বিছালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক খন্দকার মাকদুম বিল্লাহ, বিছালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মুন্সী ইমরান হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এসএম মহিউদ্দীন পারভেজ, যুবলীগ নেতা চন্দন বিশ্বাস, শেখ বিল্লাল হোসেন, মুন্সী জায়েদ, এরশাদ সহ বিছালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগের ওয়ার্ড সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ সহ দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা তাদের বক্তব্যে বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনী, জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য ও মহাণ স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্টের কালো অধ্যায় ও ভয়াল নির্মম হত্যাযজ্ঞ নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন। এসময় স্বাধীনতা বিরোধীদের কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১২ বিছালী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত সুযোগ্য চেয়ারম্যান এস এম আনিসুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাদের সহযোগীতা ও মদত দিচ্ছে তাদের দোষররা। আপনারা তাদের থেকে সজাগ থাকবেন। বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ড গতিশীল করতে এবং জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বাঙালী জাতি ও বাংলাদেশের জন্য একটি কালো অধ্যায়ের নাম। সেদিন স্বাধীনতাবিরোধী এবং তার দোষরদের সহযোগীতায় একদল বিপথগামী সেনাসদস্যরা ওই রাতে শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তার শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে সহ পরিবারের সকল সদস্যদের হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি। বরং এই দেশ থেকে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামটি মুছে ফেলতে চেয়েছিলো।
স্বাধীনতাবিরোধীরা আজও তাদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। তাই তাদের কোনো ধরনের আশ্রয়-প্রশয় বা সহযোগীতা দিয়ে আওয়ামী লীগ বিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন না করতে সকলের আহবান জানান তিনি।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে শত শত মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনে করে দলে দলে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও মা-বোনদের অংশগ্রহনে এবং সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় উপস্থিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান প্রধান অতিথি এস এম আনিসুল ইসলাম।
আলোচনা ও স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, ১২নং বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সভাপতি মো: আকতার হোসেন কিংকু বলেন, যার জন্ম না হলে আজ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহন করতে পারতাম না তিনি বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি সেই মহানায়ককে তার শিশুপুত্র শেখ রাসেল সহ স্বপরিবারে হত্যা করে বিপথগামী একদল সেনাসদস্য। রক্তে ভিজে যায় বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডীর বাড়িটি। আমাদের কপালে পড়ে কলঙ্কের তীলক। ১৫ আগষ্টের সকল খুনীদের ফাঁসির রায় পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবী জানান তিনি।
এছাড়াও আলোচনা ও স্মরণ সভায় আগত সকল সাংবাদিকদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।