Advertisement for African All Media List

দাকোপের বাজুয়া-দিগরাজ খেয়াঘাটের বেহাল দশা, যেন দেখার কেউ নেই

মোঃ শামীম হোসেন – দাকোপ ( খুলনা ) প্রতিনিধিঃ– দাকোপের বাজুয়া-দিগরাজ খেয়াঘাটের বেহাল দশা, যেন দেখার কেউ নেই। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া- দিগরাজ খেয়াঘাটের বেহাল দশা যেন দেখার কেউ নাই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার মানুষের দূর্ভোগের শেষ নাই। প্রতিদিন এই ঘাট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ নদী পার হয়ে থাকে। দেখা যায় নদী পার হওয়ার জন্য এভাবে জীবনের মায়া ত্যাগ করে দীর্ঘ বাঁশের ঘাট দিয়ে যাত্রীদের ট্রলারে উঠে নদী পার হতে হয়। সারাদিন সারা রাত এই ঘাট দিয়ে যাত্রী পার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেয়ে থাকে আর সেই ঘাটের অবস্থা যদি হয় এমন।

প্রতিদিন সরকারি কর্মকর্তারা, মিল কলকারখানায় কাজ করতে যাওয়া শ্রমিকরা বৃদ্ধ পুরুষ মহিলারা শিশু অসুস্থ রোগী পার হয়ে থাকে আর সেই ঘাটের অবস্থা যদি হয় এমন জানা যায় এই ঘাট ডাক বছরে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আর এই ভাবে যাত্রীদের পার হতে হয় ভাটার সময় কাদা ভেঙে কোলে উঠে জোয়ারে পানির উপর দিয়ে হেটে ট্রলারে উঠতে হয়।

এলাকা বাসী জানতে চায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে আর কতো কাল। একটা ঘাটের ব্যবস্থা কি হবে না এলাকার মানুষের জন্য। পার হতে আসা যাত্রী কৈলাশগন্জ হরিণ টানার প্রশান্ত রায় বলেন বৃদ্ধ মানুষদের মহিলাদের শিশু অসুস্থ রোগী পার করতে যে কি সমস্যা তা বলে ঠিক বুঝানো যাবে না।

ঘাটের ইজারাদার জিয়া বলেন এবছর ঘাট ডাকের সরকারি রেট ছিলো ৪৯ লক্ষ টাকা তাই কেউ শিডিউল ফালাইনি ফলে খাস কালেকশন হচ্ছে এই মাসে ডাক ৪ লক্ষ টাকা।

তিনি বলেন বাঁশ দিয়ে এতো বড় ঘাট ঠিক রাখা যায় না জোয়ারে পানির চাপে বাঁশ ভেসে যায় আমরা আর কতো ঠিক করবো। সরকারি বরাদ্দ দিয়ে এপার ঐপার ঘাট হওয়া দরকার। তা না হলে আমরাও প্রতিনিয়ত যাত্রীদের গাল ক্ষেতে হচ্ছে এবং খুবই কষ্ট হচ্ছে যাত্রীদের পার করতে।

একই ভাবে যাত্রীরা অভিযোগ করে এই ভাবে ভাঙা ঘাট দিয়ে পার হতে হচ্ছে আমাদের দেশ স্বাধীনের পর থেকে তারপর আবার ৫ টাকার পর এখন হতে হচ্ছে কখনো ১৫ টাকা আবার কখনো ২০ টাকা দিয়ে করোনা হওয়ার পর থেকে এভাবে বাড়তি টাকা দিয়ে পার হতে হচ্ছে। তারা বলেন সিডিউলে আছে ৫ টাকা ঘাটের ট্রলার দিয়ে পার করে দিবে কিন্তু দীর্ঘ এক বছর এই ঘাটে ঘাটের কোন ট্রলার নাই ঘাট ইজারাদাররা ঘাটে বসে বসে টাকা নিচ্ছে যাত্রীরা জলদি ট্রলারে পার হচ্ছে ২০ টাকা দিয়ে জন প্রতি আর ওরা ঘাটে বসে জলদি ট্রলারদের কাছ থেকে জন প্রতি১০ টাকা করে নিচ্ছে ঘাটে ট্রলার না দিয়ে এই যেন মরার উপর খারার ঘা।

আর যারা মোটরসাইকেল নিয়ে পার হচ্ছে তাদের কাছ থেকে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। ঘাটে বিভিন্ন মালা নিয়ে পার হতে গেলে দিতে হচ্ছে চার গুন টাকা।

এলাকা বাসী জানতে চায় এভাবে চলবে আর কতো কাল। ঘাটে পার হতে আসা যাত্রী বৃদ্ধ মহিলা সুশীলা জানান এভাবে আমরা বুড়িরা কিভাবে ঘাট পার হবো বাবা একবার পার হলে মন চায় না আর একবার পার হই। একই ভাবে অভিযোগ করেন ওয়াব শেখ তিনি বলেন এটা খুলনা -১ আসন আওয়ামীলীগের ঘাঁটি এখানে বর্তমান দেশের প্রধান মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রুপাকার জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনিও একবার এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি শেখ হারুন অর রশীদ তিনি ও এমপি হন এবং হুইপ নির্বাচিত হন। আমাদের গ্রামের ছেলে ননী গোপাল মন্ডল আওয়ামীলীগের নৌকা নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়। বর্তমান সংসদের হুইপ আমাদের আসন থেকে তিন বার নির্বাচিত এমপি পঞ্চানন বিশ্বাস তিনি ও আওয়ামীলীগ থেকে বার বার নির্বাচিত তারপর ও আমাদের ঘাটের অবস্থা এমন। জানি না কাকে নির্বাচিত করলে আমাদের ঘাট হবে।

তিনি আরো বলেন এই এলাকায় নাই কোন হাসপাতাল নাই কোন ভালো ডাক্তার তাই কেউ অসুস্থ হলে খুলনা নিয়ে যেতে হয় তাকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য আপনারা বলেন কিভাবে এক জন রোগীকে নিয়ে যাবে এই ঘাট থেকে।

তাই এলাকার হাজার হাজার মানুষের দাবি বর্তমান সরকারের কাছে একটি সুন্দর ঘাট বাজুয়া বাসীকে উপহার দেন এবং সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এলাকার মানুষের পক্ষ থেকে।

শেয়ার করুন »

লেখক সম্পর্কে »

মন্তব্য করুন »