মোঃ শামীম হোসেন, দাকোপ ( খুলনা) প্রতিনিধি : স্বাভাবিক হচ্ছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। দীর্ঘ ৪দিন পর মৌসুমী লঘুচাপের প্রভাব কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের সমুদ্র বন্দর মোংলা। যথারীতি চলছে পণ্য লোড-আনলোডের কাজ।
আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালের পালা থেকে মোংলা বন্দর জেটিতে বন্দরের হারবারিয়া এবং বেসক্রিক এলাকায় থাকা সার, পাথর, কয়লা ও (সিমেন্টের কাঁচামাল) কিংকার বোঝাই ১৩টি দেশি- বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস লোড-আনলোড করা হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ট্রাফিক) গোলাম মোস্তফা জানান, গত ৪ দিনের টানা বৃষ্টির কারণে জাহাজে পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজ দিনের কিছু কিছু সময় বন্ধ রাখতে হয়েছিল। বর্তমানে মোংলা বন্দরে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় কয়লা, সার ও কিংকারবাহী (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) ও পাথরসহ ১৩টি দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ বন্দরে অবস্থান করছে। বৈরী আবহাওয়া ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে এসব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হয়েছে।
তাই শনিবার সকাল থেকে আবহাওয়া একটু ভালোর দিকে তাই সকালের পালা থেকে শ্রমিক জাহাজে গিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে। তবে দুপুরের দিকে প্রায় তিন ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছু সময় খালাস- বোঝাইয়ের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর পুনরায় কাজ চালু করা হয়েছে।
তিনি আরো জানায়, দুপুরের পালায় কোন ভারী বৃষ্টিপাত না থাকায় এ সময় থেকে বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে চলছে বন্দরের অবস্থান করা জাহাজের পণ্য খালাস ও বোঝাই কাজ। এর আগে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মঙ্গলবার রাত থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত দিনে-রাতে কিছু কিছু সময় মোংলা সমুদ্র বন্দরে পণ্য লোড-আনলোড বিঘ্নিত হয়েছিল। বৈরী আবহাওয়া কেটে যাওয়ায় সকালের পালা থেকে বন্দর কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
এদিকে একটানা ভারী বর্ষণে মোংলা বন্দর শহরের কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। তলিয়ে গিয়েছিলো শহরের অধিকাংশ এলাকার কাঁচা রাস্তাঘাট, পুকুর ও চিংড়ী ঘের। সকাল থেকে তেমন বৃষ্টি না থাকায় কিছু কিছু এলাকায় বৃষ্টির পানি নামতে শুরু করলেও ঘের ও পুকুরের মাছ এক পুকুর ও ঘের থেকে অন্য ঘেরে চলে গেছে এবং কোন কোন জায়গায় ঘেরের মাছে মড়ক লেগেছে বলে চিংড়ী ঘের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছে।
তবে পুরোপুরি এ পানি শুকিয়ে না গেলে পুকুর ও ঘেরের মাছে মড়কের ব্যাপারে কিছু বলতে পারছে না মোংলা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা এ জেড এম তৌহিদুল ইসলাম। অপরদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বনের বিভিন্ন খালে আশ্রয় নেয়া সাগরে ইলিশ ধরতে যাওয়া জেলেরা গত ৪দিন অলস সময় বসেছিলও।