ফজল উদ্দিন, ছাতক প্রতিনিধি : দোয়ারাবাজারে অগ্নিকান্ডে ১০ দোকান ঘর পুড়ে ছাই, ৭২ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি। সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের নরসিংপুর বাজারে আগুন লেগে ১০টি দোকান ঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এতে প্রায় ৭২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার নরসিংপুর বাজারের আলতাব আলী মার্কেটের পাশে পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লার স্তুপে অজ্ঞাতনাম কে বা কারা জ্বলন্ত সিগারেট ফেলে যায়। সেখান থেকে আগুন একটি গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে ছড়িয়ে পড়লে মূহুর্তেই মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
তাৎক্ষণিক বাজারের ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপে বালি ও পানি নিক্ষেপের মাধ্যমে ঘন্টাখানেক পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষনে ১০টি দোকান ঘর ও রক্ষিত মালামাল সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
এ সময় ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী নরসিংপুর গ্রামের মোঃ আম্বর আলীর পুত্র মাহফুজুর রহমান বাহারের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, হাজী আহমদ আলীর পুত্র মোঃ আব্দুল হান্নানের ইলেকট্রনিক্সের দোকান ,ছনখাই গ্রামের দাবান্দ দাসের পুত্র রঞ্জন দাসের হোমিও ফার্মেসী, নরসিংপুর গ্রামের মৃত আজর আলীর পুত্র মোঃ কামাল উদ্দিনের কম্পিউটার ও সাজ ঘরের দোকান, বীরেন্দ্রনগর গ্রামের আওলাদ আলির পুত্র মোঃ মিজান আহমেদের টেইলাসের দোকান, নরসিংপুর গ্রামের মৃত আরজ আক্লীর পুত্র মোঃ বিল্লাহ মিয়ার ইলেকট্রনিক্স ও মেশেনারী পার্স দোকান, নরসিংপুর গ্রামের মৃত আরজ আলীর পুত্র মোঃসাহাব উদ্দিনের কম্পিউটার ও মোবাইল মালামালের দোকান ,ঘিলাছড়া গ্রামের মনো মিয়ার পুত্র জুয়েল আহমেদের টেইলাসের দোকান, নরসিংপুর গ্রামের মৃত হাসন আলীর পুত্র মোঃমানিক মিয়ার কম্পিউটার ও মোবাইল মালামালের দোকান, সিরাজপুর গ্রামের মৃত আশ্রব আলীর পুত্র মোঃহোসেন আলীর টেইলাসের দোকানে তা ছড়িয়ে পড়লে দোকানের সব মালামাল পুড়ে যায় ও আলতাব আলী মার্কেট (আহমেদ আলি গং)দের আধা পাকা বিল্ডিং এর ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা এসে আগুন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনায়.৭২ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানিয়েছে।
খবর পেয়ে লাফার্জ ফেরি হয়ে সুরমা নদী পাড়ি দিতে বিলম্বিত হওয়ায় ছাতকের ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণের পরক্ষনে ঘটনাস্থলে এসে পৌছায়।
এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ, দোয়ারাবাজার পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ।
আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে স্থানীয়রা জানান, ওই মার্কেটের পেছনে ব্যবসায়ীদের ফেলা ময়লা-আবর্জনার স্তুপে আগুন ধরানো থেকেই পার্শ্ববততী মাহফুজ বাহারের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
আগুনের দাউদাউ লেলিহান শিখা শতাধিক ফুট উপরে উঠতে দেখা যায়। এ সময় আগুনের ভয়ে বাজারের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানের মূল্যবান মালামাল অন্যত্র স্থানান্তরকালে লুটপাটসহ অনেক ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হয়েছেন।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিবার্পনে স্থানীয়দের সহযোগিতা করে থাকে।