অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : পতনের পরের কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা পেল শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচক বেড়েছে। এর মাধ্যমে পতনের পরের কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা পেল শেয়ারবাজার।
শেয়ারবাজারের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফেরাতে মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও খাদ্য খাতের কোম্পানিগুলো। এদিন অন্য খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হলেও ব্যতিক্রম ছিল এই তিন খাত। তিনটি খাতেরই বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বেড়েছে। যার ওপরে ভর করে বেড়েছে মূল্যসূচক।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া আর্থিক খাতের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫টির। ওষুধ খাতের ২০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ৯টির। আর খাদ্য খাতের ১২টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে কমেছে ৪টির।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ওষুধ ও খাদ্য খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার দিনে ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৪টির। আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ২৩৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাকি দুটি সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ ২ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২০৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি সূচক বাড়লেও এদিন ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৭৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৫৪২ কোটি ৫৫ লাখ টাকার। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ৬৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার পরিমাণে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ৪৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার লেনদেনে হয়েছে। ১৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ন্যাশনাল টিউবস।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- ফরচুন সুজ, ওরিয়ন ইনফিউশন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, জেএমআই সিরিঞ্জ, মুন্নু সিরামিক এবং সিলকো ফার্মাসিউটিক্যাল।