চাচা আবুল কালাম (৫০) কে হত্যা মামলায় ভাতিজা মো. হৃদয় খান (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
রোববার (০৮ আগস্ট) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাব-৮ এর মিডিয়া সেল।
এর আগে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন বিআরটিএ ভবন সংলগ্ন এলাকা থেকে র্যাব-১০, সদর কোম্পানি এর সহায়তায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮ সদর কোম্পানি।
গ্রেপ্তার হৃদয় খান বরিশাল মেট্রোপলিটনের কোতোয়ালি মডেল থানাধীন চরমোনাই ইউনিয়নের রাজারচর গ্রামের বাসিন্দা মো. এনায়েত খানের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, পারিবারিক পুকুর ঘাট বাঁধানোর নির্মাণ ব্যয় নিয়ে কলহের জের ধরে লোহার শাবল, দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে হৃদয় খানসহ মামলার অন্য আসামিরা পরিকল্পিতভাবে গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার দিকে আবুল কালামের বসত ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় হৃদয় তার হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে ভিকটিমের বুকের বা পাশে হত্যার উদ্দেশে কোপ দিয়ে গুরুতর জখম করে। এছাড়া হামলাকারীরা ভিকটিমের স্ত্রীসহ অন্যান্য সদস্যদেরও এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় আবুল কালামকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ওই ঘটনায় নিহত আবুল কালামের স্ত্রী মোসা. নুরুনাহার বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনা নজরে এলে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব-৮ এর সদর কোম্পানি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় এবং ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তে দেখা যায় যে, হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে। পরে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন বিআরটিএ ভবন সংলগ্ন এলাকা থেকে র্যাব-১০ এর সদর কোম্পানির সহায়তায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামি হৃদয়কে গ্রেপ্তার করা হয়।