কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের হাদী চত্বরে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষকরা জানান, সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয় স্কিম' থেকে শিক্ষকদের বাইরে রাখার দাবিতে ১ জুলাই থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। আজ ওই কর্মবিরতি নিয়ে শিক্ষকদের আলোচনা সভা ছিল। আলোচনা সভা শেষে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে মানববন্ধন করতে সম্মত হন। এটা শিক্ষকদের নির্দিষ্ট কোনো ব্যানারে আন্দোলন নয়, এই আন্দোলনে শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। মানববন্ধনে শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) অধ্যাপক মো. ইয়াসিন আলী ও মো. মনিরুল ইসলাম। মানববন্ধন থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তাঁরা।
ওই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোর্ত্তুজা আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যে দাবিটা আন্দোলন করছেন তা খুবই যৌক্তিক ও সময়োপযোগী। উচ্চ আদালত চাইছেন কোটা থাকুক তবে তা যৌক্তিক পর্যায়ে। এখন এ বিষয়ে সরকারকে ভাবতে হবে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা করা হয়েছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমরা শিক্ষকরা চাই শিক্ষার্থীরা যেন নিরাপদে থাকেন, রাষ্ট্রকে তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা শহরের পাশে জিরো পয়েন্ট এলাকা অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। বেলা সোয়া একটার দিকে জিরো পয়েন্ট এলাকার চারটি সড়ক বন্ধ করে দিয়ে তাঁরা ওই কর্মসূচি শুরু করেন। আজ ওই কর্মসূচিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছেন খুলনার বিভিন্ন সরকারি- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। জিরো পয়েন্ট অবরোধের ফলে সাতক্ষীরা, যশোর, ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।